সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঠিক বিচার দাবি এইচআরসিবিএমের
- By Jamini Roy --
- 06 December, 2024
দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সঠিক বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম)। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন এইচআরসিবিএম-এর আহ্বায়ক আইনজীবী লাকী বাছাড়। লিখিত বক্তব্যে লাকী বাছাড় উল্লেখ করেন, জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’।
তিনি বলেন, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বাক্রুদ্ধ করার কৌশলে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।”
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের পরে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হয়রানি চালানো হয়েছে।
- আহত: পাঁচ শতাধিক নিরীহ সংখ্যালঘুকে আহত করা হয়েছে।
- ঘরবাড়ি লুট: শতাধিক বাড়ি-ঘর লুটপাট করা হয়েছে।
- মন্দির ভাঙচুর: বহু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে।
- নারী নির্যাতন: নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
- অগ্নিসংযোগ: সেবক কলোনিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে, চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময়ের জামিন শুনানির দিন আইনজীবীদের ওপর পুলিশের ‘নির্বিচার’ ধরপাকড় চালানো হয়েছে। এমনকি আইনজীবীদের আদালতে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
লাকী বাছাড় জানান, চিন্ময়ের জামিন শুনানির জন্য আগামী ২ জানুয়ারি একটি লিগ্যাল টিম গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে যথাযথ শুনানি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।
সন্ধ্যায় পর প্রধান উপদেষ্টা ফরহাদ মাজাহারের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে। মাজাহার জানান, তিনি চিন্ময়ের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন এবং তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী মনে হয়নি। তিনি মামলাটির সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আহ্বান জানান।